
Scheduled Maintenance
Scheduled maintenance will be performed on the server in the near future.
We apologize in advance if the site becomes temporarily unavailable.
গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছেন। দুই দেশের মধ্যে কয়েক সপ্তাহের টানা কূটনৈতিক আলোচনার পর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং এটি এমন এক সময়ে হয়েছে যখন আগামী সপ্তাহে শুল্কছাড় কার্যকর থাকার শেষ সময়সীমা নির্ধারিত ছিল, যার পরে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর উচ্চতর শুল্ক কার্যকর হতো।
এখন, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া ভিয়েতনামের পণ্যের ওপর 20% শুল্ক আরোপ করা হবে, এবং দেশটির মাধ্যমে পুনঃরপ্তানি হওয়া যেকোনো পণ্যের ওপর 40% শুল্ক প্রযোজ্য হবে—যা একটি গুরুতর সমস্যা তৈরি করছে। ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর সকল শুল্ক বিলুপ্ত করতে সম্মত হয়েছে।
ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রাম্প দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে প্রভাব ফেলে এমন বিষয়গুলোর ওপর সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা দুই দেশের নেতৃবৃন্দের ফোনালাপে উঠে এসেছে। তো লাম যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব করেছেন যে তারা ভিয়েতনামকে একটি বাজারভিত্তিক অর্থনীতি হিসেবে স্বীকৃতি দিক এবং নির্দিষ্ট উচ্চ-প্রযুক্তি পণ্যের রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিক।
যদিও ট্রাম্প চুক্তির সাধারণ কাঠামো তুলে ধরেছেন, হোয়াইট হাউস এখনো এই বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি বা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু বিষয় এখনো প্রক্রিয়াধীন থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য মে মাসের শুরুতে নিজেদের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করেছিল, তবে ট্রাম্প জুনের মাঝামাঝি সময়ে তা কার্যকর করতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন—এবং তখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক অনিষ্পন্ন ছিল। ভিয়েতনামের সঙ্গে চুক্তিটি সেই একই কাঠামো অনুসরণ করবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
যুক্তরাজ্য ও চীনের সঙ্গে চুক্তির পর এটি ট্রাম্প প্রশাসন মাত্র তৃতীয় চুক্তির ঘোষণা দিল। এপ্রিলের শুরুতে তথাকথিত প্রতিশোধমূলক শুল্ক বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রথমে ভিয়েতনামের ওপর 46% শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যা ডজনখানেক দেশের ওপর প্রভাব ফেলেছিল। পরে এই হার 10%-এ নামিয়ে আনা হয়, যাতে আলোচনার সময় পাওয়া যায়।
অন্যদিকে, বেইজিং স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা চীনের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন যেকোনো চুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাবে, এবং ভিয়েতনামের মাধ্যমে "ট্রান্সশিপড" পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ সেই ক্যাটাগরিতে পড়তে পারে।
ভিয়েতনাম ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে, কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্টের শীর্ষ কয়েকজন উপদেষ্টা এটিকে এশিয়ায় চীনের বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখেন। একই সঙ্গে, দেশটির রপ্তানিকৃত পণ্য মার্কিন ভোক্তাদের জন্য অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছে।
বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত প্রবৃদ্ধি দেখেছে, যার অন্যতম কারণ হচ্ছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান চীন থেকে ভিয়েতনামে তাদের উৎপাদন কার্যক্রম স্থানান্তর করছে। ভিয়েতনাম টেক্সটাইল ও অ্যাথলেটিক পোশাকের বড় রপ্তানিকারক, যেখানে নাইকি ইনকর্পোরেটেড, গ্যাপ ইনকর্পোরেটেড, এবং লুলুলেমন অ্যাথলেটিকা ইনকর্পোরেটেডের মতো ব্র্যান্ডের কারখানা রয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ বৃহত্তম আমদানি উৎস, যা বছরে প্রায় $137 বিলিয়ন মূল্যের পণ্য সরবরাহ করে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভিয়েতনামের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বৈশ্বিকভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ, যা কেবল চীন ও মেক্সিকোর পরে অবস্থান করছে।
কোন কোন পণ্যের ওপর এই উচ্চ শুল্ক প্রযোজ্য হবে, তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট: EUR/USD
বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1825 লেভেলে পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। কেবল তখনই 1.1866-এর লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে, মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া 1.1903 পর্যন্ত পৌঁছানো চ্যালেঞ্জিং হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1935-এর লেভেল। যদি এই ইন্সট্রুমেন্টের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.1780-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্যভাবে এই পেয়ার ক্রয় আগ্রহ দেখা যেতে পারে। যদি সেখানে কোনো ক্রয় কার্যক্রম না দেখা জায়, তাহলে 1.1750-এর নিম্ন লেভেল পুনরায় টেস্টের জন্য অপেক্ষা করা অথবা 1.1710 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করা যুক্তিযুক্ত হতে পারে।
টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট: GBP/USD
পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথম কাজ হবে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3660-এর নিকটতম লেভেল অতিক্রম করানো, যাতে করে মূল্য 1.3705-এর দিকে যাত্রা শুরু করতে পারে। যদিও সেই লেভেল অতিক্রম করাও কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা 1.3746-এর লেভেল রয়েছে। অন্যদিকে, দরপতনের ক্ষেত্রে বিক্রেতারা 1.3610 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তবে মূল্য সেই রেঞ্জ ব্রেক করে নিচের দিকে গেলে সেটি ক্রেতাদের একটি বড় ধাক্কা হতে পারে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3565-এর নিম্ন লেভেলের দিকে নেমে যেতে পারে, এমনকি 1.3530 পর্যন্ত দরপতন প্রসারিত হতে পারে।
Scheduled maintenance will be performed on the server in the near future.
We apologize in advance if the site becomes temporarily unavailable.