সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তবে এর মানে এই নয় যে পুরো দিনজুড়ে মার্কেট স্থিতিশীল থাকবে। শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ছিল এবং উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, এবং অনেক ট্রেডার সম্ভবত সোমবারও এসব ইভেন্টের প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকবেন। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, গত কয়েক সপ্তাহে ডলারের জন্য যে ইতিবাচক পরিস্থিতি গঠিত হয়েছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। অবশ্য এটি শুধুমাত্র একটি ধারণা, যা এখনো টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট এবং মার্কেটের সামগ্রিক পরিস্থিতির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া বাকি।
সোমবার উল্লেখ করার মতো কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নেই, তবে বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা দৃঢ়ভাবে ধারণা করছে যে ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বর মাসে মূল সুদের হার কমাবে—এবং সম্ভবত 2025 সালের শেষ দুইটি বৈঠকেও একই ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাই বর্তমানে মার্কিন ডলারের দরপতনের পক্ষে অনেকগুলো কারণ রয়েছে।
বাণিজ্যযুদ্ধই এখনও ট্রেডারদের মূল উদ্বেগের বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে, যা সোমবার নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে এবং গত শুক্রবার নতুন গতি পেয়েছে। আমরা এখনও মনে করি যে যেসব বাণিজ্য চুক্তি শুল্ক বহাল রেখে সম্পাদিত হয়, সেগুলো কেবল "ভিন্ন নামে বাণিজ্যযুদ্ধের"ই ধারাবাহিকতা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক। তাই প্রতিটি নতুন অনুরূপ চুক্তি স্বল্পমেয়াদে মার্কিন ডলারকে সাময়িকভাবে শক্তিশালী করতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি এবং মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে, বিনিয়োগকারীরা এখনও নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতিমালা মূল্যায়ন করে চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট একের পর এক নতুন শুল্ক আরোপ করছেন এবং বিদ্যমান শুল্ক হার বাড়াচ্ছেন, যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ আদায় করা যায়। মার্কিন অর্থনীতি কীভাবে এই নীতিগুলোর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, তা গত সপ্তাহেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। জিডিপি হয়তো প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করতে পারে, তবে অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোর ফলাফল সম্ভবত তেমনটি হবে না।
সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের শুক্রবার শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, শুক্রবার ডলার এত বেশি ধাক্কা খেয়েছে যে তা পুরো সপ্তাহজুড়ে দরপতনের জ্বালানি হিসেবে কাজ করতে পারে। সোমবার টেকনিক্যাল লেভেলগুলো অকার্যকর হতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ অবস্থা বিরাজ করছে।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।