যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ উপরে উঠে যায় তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1766 লেভেলে পৌঁছায়, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিইনি।
যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার ৪.৬%-এ পৌঁছানোর খবর প্রকাশের পর মার্কিন ডলার তীব্র দরপতনের শিকার হয়। নন-ফার্ম পে-রোল সম্পর্কিত প্রতিবেদনও দেশটির শ্রমবাজারে চলমান নেতিবাচক প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। বিনিয়োগকারীরা এই ধরণের ফলাফলকে সুদের হার আরও হ্রাস পাওয়ার পূর্বাভাস হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। এর ফলে অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ আকর্ষণীয়তা হ্রাস পায়। মার্কিন ডলারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট নতুন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল এবং ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের বিবৃতির উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে, যেগুলো বিকেলের দিকে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আজ দিনের প্রথমার্ধে মার্কেটের ট্রেডাররা জার্মানির IFO বিজনেস ক্লাইমেট সূচকের প্রতিবেদন প্রকাশের অপেক্ষায় আছে, যেখানে বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা সম্পর্কিত মূল্যায়ন থাকবে। এর ঠিক কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউরোজোনে নভেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রকাশিত হবে। বর্তমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে, ইউরোজোনের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানির অর্থনৈতিক অবস্থা নির্ধারণে ট্রেডাররা এই IFO থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI প্রতিবেদন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে কাজ করবে। যদি মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধি পায়, তবে ইসিবি আগামী বছর ফের কঠোর আর্থিক নীতিমালার প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা শুরু করতে বাধ্য হতে পারে। অন্যদিকে, যদি মূল্যস্ফীতির চাপ প্রশমিত হয়, তাহলে ইসিবির উদ্বেগ তুলনামূলকভাবে কম থাকবে।
দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা নং ১ এবং পরিকল্পনা নং ২-এর বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবো।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1762-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1734-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1762-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.1715-এর লেভেলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1734 এবং 1.1762-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1715-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1686-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.1734-এর লেভেলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1715 এবং 1.1686-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
